বাউফল প্রতিনিধি ॥ বাউফলে দ্বিতীয় বিয়ের স্বীকৃতি পেতে ছেলের বিরুদ্ধে বাবার ভরণ-পোষণের মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নওমালা ইউপির বটকাজল গ্রামের এ জেড এম শাহানুর হাওলাদারের স্ত্রী দূর্ঘদীন অসুস্থ থাকার পরে প্রায় ১মাস পূর্বে মা মারা যান। স্ত্রী মারা যেতে না যেতেই ২য় বিবাহ করার জন্য মরিয়া এ জেড এম শাহানুর হাওলাদার। কিন্তু কোন ক্রমেই রাজি হননি তার এক মাত্র সন্তান মুজাম্মেল হাওলাদার। আর ২য় বিবাহ কারার স্বীকৃতি পেতে এক মাত্র সন্ত্রান মুজাম্মে হাওলাদারের নামে বাবা এ জেড এম শাহানুর আদালোতে ভরন পোষনের মিথ্যা মামলা করে চাপে রাখলের ছেলেকে। বাবার এমন কাজে অসহায় পুত্র মুজাম্মেল তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ বিচারকের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেছেন। সরেজমিনে জানাযায়, এ জেড এম শাহানুর হাওলাদারের এক ছেলে ওতিন মেয়ে। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরপরই ছেলে মেয়েদের কাছে দ্বিতীয় বিয়ে নতুন করে সংসার বাধার কথা বলেন। এতে ছেলে ও মেয়ে কেই রাজি হননি। কৌশলে তিন মেয়েকে কিছু জমি লিখে দিয়ে বিয়ের জন্য তিন মেয়েকে রাজি করান। কিন্তু ছেলে মুজাম্মেল হাওলাদার তার পূর্বের অবস্থানেই থেকে যায়। জমি তিন মেয়েকে লিখে দেয়ায় হেন্য হয়ে কলকাঠি নাড়ছে ভগ্নিপতি এবং বোনেরা। শশুর বাড়ির সম্পত্তির লোভে নানান ভাবে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে তারা। আরও জানা গেছে, এ জেড এম সাহানুর (৭৪)’র স্ত্রী, এক ছেলে এবং ৩ মেয়ে। স্ত্রীর জীবদ্দশায় তিন মেয়ে এবং তাদের স্বামীদয় কূটকৌশল করে সাহানুর’র কাছ থেকে ২২ শতাংশ জমি লিখে নিয়েছে। এ খবর শুনে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মুজাম্মেল শালিস-ব্যবস্থায় বসেন। শালিসদারদের বিবেচনায় সাহানুর তার ছেলে স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ মুজাম্মেলকেও ১৬ শতাংশ জমি লিখে দেন। মুজাম্মেলের অভিযোগ সূত্রে এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য সহকারী মুজাম্মেল ব্যাংক থেকে লোন করে তার সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ করেন। ব্যাংকে তার লোনের টাকা কেটে নিয়ে মাসিক মাত্র ৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। যাতে তার সংসার চলে না। জানা গেছে, বাড়ি ভাড়ার অগ্রিম বায়না চুক্তির টাকা এবং মাসিক প্রায় ৪০ হাজার টাকা ভাড়া সবই সাহানুর নিয়ে নেন। মাসখানেক আগে সাহানুর’র স্ত্রী মারা গেলে মুজাম্মেল ভাড়ার টাকার অর্ধেক দাবি করেন। এতেই বাঁধসাধে ভগ্নিপতি এবং বোনেরা। তারা সাহানুরকে কুমন্ত্রণা দিয়ে মুজাম্মেল’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার আশ্রয় নেন। মোজাম্মেল এবং এলাকাবাসীর দাবি, সুষ্ঠু তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে থলের বিড়াল। লোভী ভগ্নিপতি এবং বোনেরা নানানভাবে মুজাম্মেলকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানি করে আসছে। মোজাম্মেল এর ন্যায় বিচার দাবি করছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান, স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ মুজাম্মেল (৩৭) খুবই সৎ এবং শান্তপ্রিয় লোক। কিন্তু সম্পত্তির লোভে বোন এবং ভগ্নিপতিরা তার উপর অন্যায়-অত্যচার এবং জোড়-জুলুম করে আসছে। ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জানা যায়, সাহানুর বাড়ি ভাড়ার ৩০-৪০ হাজার টাকা সবই নিয়ে যান। সরেজমিনে আরও জানা যায়, যা দিয়ে তিনি মেয়ে এবং জামাই বাবুদের নিয়ে বিলাস-বহুল জীবন যাপন করে আসছেন। তারপরও ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলার আশ্রয় কেন নিয়েছেন তার বোধগম্য নয় এলাকাবাসীর কাছে। তারা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন। উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ রোববার পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৩-এর ৪/৫ ধারায় পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইনে ছেলে মুজাম্মেল (৩৭)-এর বিরুদ্ধে বাবা এ জেড এম সাহানুর (৭৪) মামলা করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক ছেলে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ছেলে মোঃ মুজাম্মেল বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত রয়েছেন। এ ব্যাপারে মুজাম্মেল জানান, আমার মা মারা গেছেন ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১। কিন্তু ভগ্নিপতি এবং বোনরা আমার বাবাকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দিয়েছে।
Leave a Reply